রাজনীতি

সহিংসতাই বেশি


সহিংস যেকোনো ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও দলের কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছে। গত বছর দেশে ১ হাজার ৯০৫টি রাজনৈতিক সহিংস ও অহিংস ঘটনা ঘটেছিল। অধিকাংশ ঘটনায় সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি জড়িত ছিল। গবেষকেরা বলছেন, সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। রাজনীতি চর্চার সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও অহিংস আচরণকে ভিত্তি বলে মেনে নিতে হবে।

* বিপিওর ‘শান্তি পরিস্থিতি ২০১৮’ শীর্ষক প্রকাশনা
* সহিংস ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দল জড়িয়ে পড়ছে
* রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে

সহিংস যেকোনো ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও দলের কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছে। গত বছর দেশে ১ হাজার ৯০৫টি রাজনৈতিক সহিংস ও অহিংস ঘটনা ঘটেছিল। অধিকাংশ ঘটনায় সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি জড়িত ছিল। গবেষকেরা বলছেন, সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। রাজনীতি চর্চার সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও অহিংস আচরণকে ভিত্তি বলে মেনে নিতে হবে।

 

 

বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) ‘শান্তি পরিস্থিতি ২০১৮’ শীর্ষক প্রকাশনায় এই কথা বলা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশে সন্ত্রাসবাদের রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে ভালো। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও কিছু করা দরকার। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত দুই বছরের তুলনায় খারাপ হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)সূত্র: বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ ‘পার্টনারশিপস ফর আ টলারেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেই প্রকল্পের একটি অংশ বিপিও। উন্মুক্ত উপাত্তের মাধ্যমে শান্তি ও সহিষ্ণুতা সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজ করছে বিপিও। ১৯টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্র থেকে নেওয়া তথ্য এই প্রকাশনায় ব্যবহার করা হয়েছে। স্টপ ভায়োলেন্স কোয়ালিশন, বাংলাদেশ পুলিশ, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, অ্যাকশনএইড, দ্য সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এবং জাতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বিপিওর সঙ্গে যুক্ত আছে। প্রকাশনাটি সম্পাদনা করেছেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের প্রতিষ্ঠানা অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।

প্রকাশনায় দেশের নারীর প্রতি সহিংসতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকাশনার সম্পাদক পরিষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তি সকলের কাম্য। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাস দমন বা সহিংসতা কমানোই একমাত্র পন্থা নয়। মানুষকে সহিষ্ণু হতে হবে, রাষ্ট্রকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

Admin

0 Comments

Please login to start comments