গতকাল সোমবার অর্থমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধানটা একটু কঠিন—এমন মন্তব্য করে মুহিত বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে করণীয় বিষয়ে তিনি একটি প্রতিবেদন তৈরি করছেন, যা আগামী সরকারের জন্য রেখে যাবেন। ওই প্রতিবেদনে থাকবে ১০ শতাংশ খেলাপি ঋণ হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবেদনটি এখনো লিখতে শুরু করেননি বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একসময় ব্যাংক খাত সরকারি থাকলেও এখন ব্যক্তিমালিকানা অনেক প্রসারিত হয়েছে। একসময় সোনালী ব্যাংক সবচেয়ে বড় ছিল। এখন আর সেটা নেই। ব্যাংকের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। এ জন্য ভবিষ্যতে নতুন কোনো ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হবে না।
সোনালী ব্যাংক ছাড়া বাকি পাঁচ রাষ্ট্র খাতের ব্যাংক কোম্পানিকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা থেকে সরে এসেছেন বলেও জানান মুহিত। তবে সোনালী ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
মুহিত বলেন, ব্যাংক খাতের জন্য তিনি পাঁচ বছরের একটি কর্মসূচি করছেন, যাতে ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দেওয়া হবে। যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না, তাদের অবসায়ন বা একীভূতকরণ করা হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং কমিশনসহ আর্থিক খাতের উন্নতিতেও দেওয়া হবে কিছু পরামর্শ। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাংককে মরতে দেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে তাঁর অপ্রাপ্তি বলতে তেমন কিছু নেই। কারণ প্রাপ্তির খাত এত বড় যে অপ্রাপ্তিটা চোখে পড়ার মতো নয়। জেলা বাজেট করতে না পারার কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, এ জন্য অবশ্য একটি পথ রেখে যাচ্ছেন তিনি। পরবর্তী যেকোনো সরকার তা অনুসরণ করে করতে পারবে।
0 Comments
Please login to start comments